গিজার ব্যবহার করেও বিদ্যুৎ খরচ কমাবেন যেভাবে

 

গিজার ব্যবহার করেও বিদ্যুৎ খরচ কমাবেন যেভাবে

শীত এলেই ঠান্ডা পানির চিন্তা মাত্রই শরীর কুঁকড়ে আসে! তাই ঘরে গিজার থাকলে জীবন স্বর্গের মতো—গোসল হোক বা খাবারের পানি গরম করা, সবই মুহূর্তেই। কিন্তু সমস্যা হলো, গিজারের সঙ্গে বিদ্যুতের সম্পর্কটা একটু দুশ্চিন্তার। ভুলভাবে ব্যবহার করলে বিল দেখে চোখ কপালে উঠবে।

তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক—গিজার ব্যবহার করেও বিদ্যুৎ খরচ কমাবেন যেভাবে, আর উপভোগ করবেন স্বস্তিদায়ক গরম পানি!


১) সবসময় চালু নয়—প্রয়োজনেই চালু করুন

অনেকেই ভাবেন, গিজার সবসময় চালু থাকলেই ভালো। সত্যি বলতে কি, এতে আরাম বাড়ে ঠিকই, কিন্তু বিলও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে।

• প্রয়োজনের সময় গিজার চালু করুন
• কাজ শেষ হলে বন্ধ করুন
• পুরোনো গিজারে অবশ্যই নিজে হাতেই বন্ধ করার অভ্যাস রাখুন

যদিও আধুনিক অটো-কাট গিজার নিজেই কাজ শেষে থেমে যায়, তবে সাবধানতাই সর্বদা বুদ্ধিমানের কাজ।


২) পানি আগেই চেক করুন

গোসলের আগে অভ্যাসগতভাবে গিজার অন করার দরকার নেই। অনেক সময় ট্যাপে থাকা পানি আগের ব্যবহারের পরও গরম থাকে।

• প্রথমেই ট্যাপ খুলে পানি পরীক্ষা করুন
• গরম থাকলে গিজার চালানোর প্রয়োজন নেই

এই ছোট সচেতনতা মাসের শেষে বড় সাশ্রয় এনে দেবে।


৩) থার্মোস্ট্যাট সঠিকভাবে সেট করুন

থার্মোস্ট্যাট ঠিকমতো না থাকলে গিজার প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে।

• ৫০–৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস—এটাই সবচেয়ে উপযুক্ত তাপমাত্রা
• পানি যথেষ্ট গরম থাকবে, বিদ্যুৎও কম খরচ হবে


৪) পুরোনো গিজারকে বিদায় দিন

যে গিজারের বয়স বেশি, তার বিদ্যুৎ খাওয়ার লোভও বেশি! এতে থাকে না উন্নত প্রযুক্তির ফিচার।

• পুরোনো, নষ্ট ইনসুলেশন বিল বাড়ায়
• অটো-কাট না থাকলে অতিরিক্ত সময় গরম হয়

সমাধান?
৫-স্টার রেটিং যুক্ত শক্তি-সাশ্রয়ী গিজার বেছে নিন—সাশ্রয় হবে টাকাতেও, আরামেও।

শেষ কথা

গিজার কিনে ব্যবহার করলেই হলো—এটা ভাবলে চলবে না।
কিছু সহজ নিয়ম মানলে—

✓ গিজার ব্যবহার করেও বিদ্যুৎ খরচ কমাবেন যেভাবে তা নিশ্চিত হবে
✓ ঠাণ্ডাতেও আরামদায়ক গরম পানির মজা পাবেন
✓ বিল দেখে আর অবাক হতে হবে না

বুদ্ধি করে চলুন, বিদ্যুৎ বাঁচান, আর শীতে নিশ্চিন্তে গরম পানির দুনিয়ায় ডুব দিন!

*

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন