কেমনে ইনহেলারটারে ঠিকঠাক চালাইতে হয়—হাসবেনও, শিখবেনও!

আচ্ছা ভাইসব, হাঁপানির ইনহেলার কইরা ব্যবহার করা কিন্তু এমনি এমনি না! এখন শোনেন বরিশালের ঢঙে কেমনে ইনহেলারটারে ঠিকঠাক চালাইতে হয়—হাসবেনও, শিখবেনও!


 আগে কভার খুলেন, না হলে মুখে কইরা “পিছলা মাছ” ঢুকাই ফেলবেন!
ইনহেলারের নিচের দিকের কভারটা খুলে ফেলেন। মুখ দিবার জায়গাটা কাদা-মাটি ধরা কিনা চেক দেন, নইলে ধুলা শ্বাসে যাইয়া নাকের ভিতরে “ইট ভাঙার কারখানা” লাগব!

 এবার ইনহেলারটারে ঝাঁকান, যেন আম কাঁঠাল ঝাঁকাইতাছেন!
তর্জনী আর বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়া ইনহেলারটারে এমনভাবে ধরেন, যেন আইসক্রিম ধরছেন — তারপর হালকা দুই-তিনবার ঝাঁকায়া দেন। মনে রাখবেন, বেশি ঝাঁকালেই “ওষুধের বদলে ধোঁয়া” পাইবেন! 

 এখন বুক ফাঁকা করেন, যেন একদম খালি টিনের ড্রাম!
গভীর নিঃশ্বাস ছাড়েন—যেন ভাবতেছেন, “এইবার মুক্তি!”

 ইনহেলারটা দুই ঠোঁটের মাঝে লাগান, হইচই না কইরা শান্তভাবে!
ঠোঁটের ফাঁকে ইনহেলারটা চেপে ধরেন, আর ভাবেন “এইটা কোনো বাঁশি না” — বাজাইবেন না, শুধু টান দিবেন! 

 মাথা একটুখানি পেছনে হেলান—যেন বরিশালের রোদে সেলফি তুলতেছেন!


এখন দেইখেন, মেইন কাজ!
ইনহেলারের মাথায় চাপ দেন, আর একসাথে ধীরে ধীরে শ্বাস টানেন — যেন গরম চা খাওয়া যায়, কিন্তু জ্বালা না লাগে! 

মুখ থেইকা ইনহেলার সরায়া এখন শ্বাস আটকা রাখেন ১০ সেকেন্ড —
যতক্ষণ পারেন, ততক্ষণ! ভাবেন “এইটা নাকের ব্যায়াম”। 

এবার ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়েন, যেন মিষ্টি বাতাস দিচ্ছেন প্রেমিকের কানে! 


একবারে কাজ না হইলে এক মিনিট বিশ্রাম দেন, তারপর আবার একই পদ্ধতি —
তবে তাড়াহুড়া কইরেন না, না হলে ইনহেলারের ওষুধ হাওয়ায় যাইয়া হালুয়া হইয়া যাইব!

শেষে ইনহেলারের মুখ পরিষ্কার কইরা রাখেন, না হলে পরেরবার খাইতে গিয়া মনে হইব কাদা চুষতেছেন! 


এইভাবেই ভাই, ইনহেলার ঠিকমতো চালাইলেই হাঁপানিও দূরে থাকব, আর পাড়া-পড়শি বলব,
👉 “দেইখছো? এইডা হইল বরিশালের ফুসফুস মাস্টার!” 


*

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন